আজ ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: আন্দরকিল্লার কোয়ালিটি প্রিন্টার্স থেকে ধারণকৃত

ভোটের প্রচারণার প্রস্তুতি


অনলাইন ডেস্কঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রভাবে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামের ছাপাখানাগুলোও ধীরে ধীরে ব্যস্ত হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে ক্যালেন্ডার, ডায়েরি, বই-পুস্তক ও খাতাসামগ্রীর কর্মআদেশে ব্যস্ত থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভিড় বাড়ছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও সমর্থকদের। কেউ পোস্টার নিয়ে করছেন দরদাম, আবার কেউ ব্যানার ফেস্টুনের দর যাচাই করছেন। ভোটের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে প্রচারণার জন্য সময় রাখা হয়েছে ২২ দিন। আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর প্রচারণা শুরু হচ্ছে প্রার্থীদের। তবে তফসিল ঘোষণার অনেক পূর্ব থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক ও অন্যান্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে) নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। এবার মুদ্রণ মাধ্যমের পাশাপাশি এ মাধ্যমেই বেশি প্রচারণা চালাচ্ছেন ভোটের প্রার্থী ও তাদেও সমর্থকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে তিন শতাধিক ছাপাখানা রয়েছে। আন্দরকিল্লা, কদম মোবারক (মোমিন রোড), দিদার মার্কেট, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে এখন ভোটের পোস্টার ছাপানোর অপেক্ষায় রয়েছেন মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল

এ প্রসঙ্গে আলাপাকালে চট্টগ্রাম প্রেস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোয়ালিটি প্রিন্টার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সেলিম উদ্দিন চৌধুরী চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন হলেও প্রার্থীদের পোস্টার করার মনমানসিকতা পরিলক্ষিত হয়নি। মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের পূর্ণ প্রস্তুতি থাকলেও আশানুরুপ কাজ হবে বলে মনে হচ্ছে না।’

তথ্যানুযায়ী, দেশে এখন ছাপাখানা আছে সাড়ে পাঁচ হাজার। এর মধ্যে বড় এক হাজার, মাঝারি দুই হাজার ও ক্ষুদ্র কারখানা আড়াই হাজার।

নির্বাচনী প্রচারে কাগজের পোস্টার, লিফলেট ও কার্ডের সঙ্গে এবার ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুনের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। সব প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা একসঙ্গে শুরু হয় বলে সেই চাহিদার চাপ সামলাতে ছাপাখানা ও আনুষঙ্গিক পণ্যের ব্যবসায়ীদের তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে হয়। তবে এবারে নির্বাচনী প্রচার ব্যয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে যাবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর